বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক রেজা নুর এর ১৬তম বই ও ৪র্থ কাব্যগ্রন্থ “নিরীহ হাওয়ার নদী” এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ১লা এপ্রিল রাজধানীর স্প্রেক্টা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠান বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিক ও সুধীজনের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
উল্লেখ্য, রেজা নুর ৬ মার্চ ১৯৭০ সালে যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার হানুয়ার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস, ঝিকরগাছার বললায়। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ অনার্স ও মাষ্টার্স সম্পন্ন করে ঝিকরগাছা মহিলা কলেজে ইংরেজির প্রভাষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন কিছুদিন। এরপর তিনি ১৯৯৬ সালের ১৬ই নভেম্বর থেকে আমেরিকায় বসবাস শুরু করেন।
পাঁচ বছর নিউইয়র্ক সিটিতে থাকাকালে “সাপ্তাহিক বাংলাদেশ” এর স্টাফ রাইটার ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বসবাস করেন ম্যাসাচুসেটস স্টেইটের সাউথ ইসটন শহরে, স্ত্রী নিগার সুলতানা লীনা ও তিন সন্তান: দীনা, সামিন ও আমীরাকে নিয়ে।
কবিতা লেখা, ইংরেজি থেকে অনুবাদ, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সমালোচনাসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় রেজা নুর এর বিচরণ। তার প্রকাশিত বই ১৬টি। সম্পাদিত সাহিত্যের কাগজ ‘অনুরণন’।
উক্ত অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও ‘নিরীহ হাওয়ার নদী’ কবিতার বই থেকে কবিতা আবৃত্তি করেন, সিফাত সালাম। কবির জীবন, কর্ম ও প্রকাশিত বইয়ের উপরে আলোচনা রাখেন, বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ । তাঁরা হলেন : কবি ও কথাশিল্পী জব্বার আল নাঈম, কথাশিল্পী ফিরোজ আশরাফ, কথাশিল্পী শামস সাঈদ, কবি ও নাট্যকার বীরেন মুখার্জী, কবি সাম্মি ইসলাম নীলা, জিনাত রেহানা লুনা, নিউজ প্রেজেন্টার বাংলাদেশ বেতার ও জেনারেল ম্যানেজার এক্সিলেন্ট কর্পোরেশন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক বাচ্চু প্রিন্সিপাল অফিসার সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিরেক্টর রবিউল হাসান এবং বায়োফার্মা লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রেজা নুরের বড় ভাই বিশিষ্ট চিকিৎসক মোঃ মিজানুর রহমান ।
বিভিন্ন সুধীবর্গসহ আরও উপস্থিত ছিলেন মোফাজ্জেল হক ওয়াসীম, হেড অব ব্রাঞ্চ এ বি ব্যংক, এনায়েত
হোসেন বিপুল, জেনারেল ম্যানেজার নাভানা গ্রুপ, রাজীব চৌধুরী অনি, প্রাক্তন অফিসার গ্রামীণ ব্যাংক ও প্রাক্তন প্রোডাক্ট ম্যানেজার উইন মিয়াকি লিমিটেড, বিশিষ্ট চার্টার্ড একাউন্ট মোঃ আসাদুজ্জামান সাজ্জাদ সহ বিশিষ্টজনেরা।
লেখালেখির পাশাপাশি কবি রেজা নুর তার গ্রামভিত্তিক বেশ কিছু সামাজিক কাজ পরিচালনা করে আসছেন, যেমন: মসজিদ-মাদ্রাসা-শিশু শিক্ষালয়, ইয়াতীমখানা, হিফজখানা নির্মাণ, এলাকা ভিত্তিক রাস্তা, পাবলিক লাইব্রেরী ইত্যাদি।