এক রাতের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম মহানগরের বহু এলাকা। সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে ভোগান্তিতে পড়ে যায় অফিসমুখী যাত্রীরা। আর জলাবদ্ধতার কারণে বেশ কয়েকটি এলাকার বাসা বাড়ি পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী। জলাবদ্ধতার মধ্যে নালায় পড়ে প্রচণ্ড স্রোতে নিখোঁজ হয়েছে এক যুবক। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি।
মঙ্গলবার গভীররাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নগরীতে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ এবং জোয়ারের পানিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম নগরী। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাত কমে গেলে এবং নালা নর্দমার পানি নামতে শুরু করলে শুরু হয় স্বাভাবিক জনজীবন।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে বেশি। নগরের বাইরে উপক‚লীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার। আগামী দুই-একদিন তা অব্যাহত থাকতে পারে। সাগরে এখন কোন লঘুচাপ নেই। ফলে সমুদ্র বন্দর ও নদী বন্দরগুলোর জন্য কোন ধরনের সতর্কতা সঙ্কেতও নেই।
নগরীর চকবাজার, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ডুবে গেলে সকাল থেকে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। যেসব এলাকার বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েন তারা জানিয়েছে, হাঁটু পানি মাড়িয়ে সকালে অফিস পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়েছে। আর যেসব নগরীর নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে সেখানের বাসা বাড়িতে পানি জমে থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নালায় পড়ে সালামত নামে এক যুবক নিখোঁজের তথ্য দিয়েছে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। তবে ওই যুবকের বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি তারা। বুধবার সকাল ১১টায় পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর পুলিশ বক্স এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নালায় নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে চেষ্টা করছে।