কথা হচ্ছিল রায়পুর ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামের দৃষ্টিহীন বাবর আলীর সাথে। গত ১৪ বছর থেকে তিনি অন্ধ। বয়স ৬১ বছর। ভিক্ষা করেই চলে তার ৩ সদস্যের সংসার। সরকার নির্দেশিত কঠোর লকডাউন এর পর ঠিকমতো ভিক্ষা করতে যেতে পারছেন না, এজন্য কখনো কখনো না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। শুধু বাবর আলী নয় এভাবে উৎকন্ঠায় দিন যাচ্ছে বাঘারপাড়ার তালিকাভুক্ত সকল ভিক্ষুকদের।
১৪ বছর আগে স্টোক করে ২ চোখ অন্ধ হয়ে যায় বাবর আলীর। এরপর জায়গা জমি বা সম্পদ না থাকায় ভিক্ষা করেই চলছিল সংসার। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভাতাও পান মাঝেমধ্যে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্য। এজন্য তাকে ভিক্ষা করতে হয়। কিন্তু করোনার কারনে এখন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের মাঝেমধ্যে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।
এব্যাপারে বাবর আলী জানান ‘এখন ঘর থেকে বের হতে পারছি না, আবার বের হলেও অনেকে করোনা পরিস্থিতির কারনে ভিক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে তাকে পরিবার নিয়ে মাঝেমধ্যেই উপোস থাকতে হয়। মেম্বার মাঝে চাল দিয়েছিল, সেই চাল দিয়ে কইদিন চলে?
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) তানিয়া আফরোজ বলেন ‘বর্তমানে তালিকাভুক্ত ভিক্ষুকদের জন্য কোন সরকারি বরাদ্দ নেই। প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহযোগিতা কাউকে না কাউকে দেওয়া হচ্ছে। কারো খাদ্য সহযোগিতা দরকার হলে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউএনও অফিস বা ৩৩৩ নং এ ফোন করলে খাদ্য সামগ্রী পৌছিয়ে দেওয়া হবে’।