বর্তমান সময়ে আলোচিত এবং জনপ্রিয় বিনোদন মাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের নেটফ্লিক্স। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া একটি চলচ্চিত্রে বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে ‘আপত্তিকর’ সংলাপ শোনা গেছে। বাংলাদেশি পণ্যবিরোধী প্রচারণার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সিনেমাটির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে।
সিনেমাটির নাম ‘দ্য লাস্ট মার্সেনারি’। এতে অভিনয় করেছেন হলিউড খ্যাত অ্যাকশন হিরো ভ্যান ড্যাম।
সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখা যায়, একজন অভিনয়শিল্পী বলছেন, ‘হ্যাঁ, এটা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট’(Ah, yes. Bulletproof tuxedo)’। জবাবে অন্যজন বলেন, ‘এটা মেড ইন ফ্রান্স। তবে যদি এটি বাংলাদেশ থেকে আসে, তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাব।’ (Made in France. If it was from Bangladesh, I,d be gone.)
এমন সংলাপে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের পণ্যকে খাটো করা হয়েছে মন্তব্য করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মুহম্মদ খান। তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘বিষয়টাকে নেহাত সিনেমার একটা ডায়লগ মনে করলে আমার মনে হয় চরম বোকামি হবে। এটা খুব প্রচ্ছন্নভাবে করা হয়েছে বলেই ধরে নেয়া ভালো। এবং বাংলাদেশের বা বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের নেগেটিভ ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য এসব মুভি যে মোক্ষম অস্ত্র, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না! একটা জুতসই প্রতিবাদ হওয়া দরকার না?’
তার এমন পোস্টের পর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী অনেক প্রবাসীর নজরে পড়ে। তারাও এর প্রতিবাদ করেছেন।
সিনেমায় এমন সংলাপ ব্যবহারকে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বিরুদ্ধে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন সুজন হোসেন নামের একজন।
তার ভাষ্যে, ‘আমরা বুলেটপ্রুফ কিছু তৈরি করি না। তার পরেও এর সঙ্গে বাংলাদেশের নাম জুড়ে নিম্নমানের প্রমাণ করাটা সত্যিকার অর্থে একটা গভীর চক্রান্ত। বিশেষ করে বাংলাদেশের পোশাক, চামড়া, ওষুধ এবং অন্যান্য রপ্তানিযোগ্য পণ্য ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে এসব করা হচ্ছে।’
সুজন হোসেনের বক্তব্যে সহমত জানিয়েছেন সুমন কায়সার। তিনি লিখেছেন, ‘এত দেশ থাকতে বাংলাদেশ! প্রতিদ্বন্দ্বীদের উদ্দেশ্যমূলক প্রচার হওয়া অসম্ভব না।’