১লা আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ কারনে ঢাকা ফিরছেন এ খাতে জড়িত অসংখ্য মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কয়েকগুণ ভাড়া দিয়ে ঢাকা ফিরছেন তারা। শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার প্রবেশপথ আমিন বাজার ও গাবতলীতে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ দেখা গেছে। করোনা প্রতিরোধে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করেই চাকরি বাঁচাতে কর্মস্থলে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ ও ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে যারা আসছেন তারা মূলত ভেঙে ভেঙে রিকশা ও ভ্যানে চড়ে আসছেন। এতে তাদের তিন থেকে চার গুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
মাগুরা থেকে ফেরা গার্মেন্টসকর্মী রবিউল বলেন, ‘মাগুরা সদর থেকে মাইক্রোবাসে আসলাম, দেড় হাজার টাকা ভাড়া নিয়েছে। কাল থেকে গার্মেন্টস খোলা, তাই আজকে তাড়াহুড়ো করে তিনগুণেরও বেশি ভাড়া দিয়েই আসতে হলো।
টাঙ্গাইলের ভাদ্রাবাজার থেকে আসা প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘গণপরিবহন নাই। আমাদের তো কষ্ট হচ্ছেই। কিন্তু চাকরি বাঁচাতে এখন এটা মেনে নিতে হবে। ছুটি ছিল ২ আগস্ট পর্যন্ত কিন্তু মালিক আজকে দেখা করতে বলেছেন। টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় ফিরতে ৬০০ টাকা খরচ হয়েছে। আমিন বাজার থেকে ফকিরাপুল এখন আরও ৬০০ টাকা চাচ্ছে।’
গাবতলী চেকপোস্টে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ অন্যদিনের তুলনায় ঢাকায় ফেরার চাপ বেশি। এক্ষেত্রে যারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছে না, তাদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনের ধারায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।
তবে যারা হেটে চেকপোস্ট পার হচ্ছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না। অন্যদিকে মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।