চলমান কঠোর বিধিনিষেধেও কোনভাবেই থামান যাচ্ছে না যাত্রীদের। বিভিন্ন অযুহাতে তারা পারাপার হচ্ছেন। ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দেখা গেল ফেরি ঘাটে আসতেই শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হতে।
এদিকে লকডাউন বাস্তবায়ন ও ফেরিতে যাত্রী চলাচল নিয়ন্ত্রণে ঘাটের অভিমুখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে তা অতিক্রম করতে যাত্রীরা নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন।
খোজনিয়ে জানা যায়, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া এবং দৌলদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। প্রতিটি ফেরিতেই শতশত ঢাকামুখী যাত্রী। আছে মোটরসাইকেলের ঢলও। আবার শিমুলিয়া হয়ে বাংলাবাজার যাচ্ছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা। তবে ফেরিতে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের চেয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বেশি। এতে ফেরিতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব; উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধিও।
যাত্রিদের যেন অযুহাতের শেষ নেই, চেকপোষ্টেও থামানো যাচ্ছে না। কেউ বলছেন বিদেশে যাব, টিকা দিতে ঢাকায় যাচ্ছি, কেউ বলছেন ব্যাংকে চাকরি করি, কেউ বলছেন বাড়িতে বসে থাকলে তো কেউ খাবার দেবে না। ঢাকায় চাকরি করি, সেখানে মালিক-মহাজন যাওয়ার জন্য বলছে তাই প্রয়োজনের তাগিদেই যাচ্ছি।’
তবে অধিকাংশ ফেরিতেই গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। নিয়মনীতি না মেনেই যাত্রী উঠানো হচ্ছে। অনেকের মুখে মাক্স পর্যন্ত নেই।