যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামে ১৯৮৬সাল থেকে বাড়ি বাড়ি কুরবানির গোশত পৌছায়ে দেওয়া হয়। সারাদেশে যেখানে গ্রহিতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোশত চাইতে হয় সেখানে এই গ্রামের যুবকরা কুরবানির গোশত মসজিদে একসাথে করে পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী প্যাকেট করে পৌছায়ে দিয়ে থাকে।
এই প্রচলনের উদ্দোক্তা ডাঃ মিজানুর রহমান এর সাথে কথা বলে জানা যায়, একসময় গরীব মানুষেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোশত চাইত। যে যা দিত তাই নিত। অর্থাৎ যে যত বাড়ি যেতে পারত সে তত বেশি গোশত পেত। অন্যদিকে যারা অসুস্থ, কারও কাছে হাত পাততে পারে না, তারা কিন্তু মোটেই গোশত পেত না। অথচ এই সকল মানুষেরাও হকদার। এসব বিবেচনায় আমরা প্রথম এই কাজ শুরু করি। প্রথমে একটা পাড়ায় এই সিস্টেম চালু করা হয়, আস্তে আস্তে পুরা গ্রামকে এই সিস্টেম এর আওতায় নিয়ে আসা হয়। গ্রামবাসী এর সুফল পাচ্ছে, আশেপাশে অনেক গ্রাম এই সিস্টেম চালু করেছে বা করছে। এছাড়া আমরা ৯০সালের দিকে স্যানিটেশন প্রোগ্রাম চালু করেছিলাম, সেই থেকে আমাদের গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে টয়লেট আছে। ৯৫সালের দিকে বয়ষ্ক শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। এভাবে অনেকেই উপকৃত হয়েছে। আমরা গ্রামের সবাইকে নিয়ে একটি মডেল গ্রাম হিসাবে গড়ে তুলতে চাই ২০৪০সালের মধ্যে৷ তিনি আরও বলেন আমাদের ইয়াং জেনারেশনকে নিয়ে একটা সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে “বল্লা ফাউন্ডেশন” নামে। আমাদের স্লোগান “Urban village Vision 2040″।
রিয়াজ হাসান রানা নামের একজন ভলেন্টিয়ার জানান এবারের মোট দাতা সংখ্যা ২২২জন(ছাগল-১৩৪ গরু-৮৮শেয়ার) যা গত বছর ছিল ২০২জন। করোনা পরিস্থিতিতেও আলহামদুলিল্লাহ কুরবানির সংখ্যা বেড়েছে। আর গ্রহিতার সংখ্যা ৭১৪পরিবার যা গতবছর ছিল ৭৩৪পরিবার।
কুরবানির গোশত এক জায়গায় করা হচ্ছে
কুরবানির গোশত বিলি করার জন্য মাপা হচ্ছে