যশোরের প্রথিতযশা প্রবীণ সাংবাদিক,কবি,সাহিত্যিকে, কলামিষ্ট,সত্য,সুস্থ ও আদর্শ সাংবদিকতার অন্যতম পথিকৃত, বিরল সংবাদ প্রতিভা, মিজানুর রহমান তোতা যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।(ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)সর্বশেষ তিনি দৈনিক ইনকিলাবের যশোর ব্যুরো প্রধান ছিলেন!
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত ৩ জুলাই বিকালে ব্রেইন স্ট্রোক করলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর দেখে ইনসেটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করান। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর ছেলে শাহেদ রহমান জানান, বাবা বেশকিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। এর মধ্যে তার করোনা টেস্ট করানো হয়। টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। ৩ জুলাই দুপুরে বাসায় তিনি স্ট্রোক করেন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। অক্সিজেন লেভেলও মারাত্মকভাবে কমে যায়। আজ ভোরে তিনি আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের ডাকে সাড়া দিয়ে ইন্তেকাল করেন। তার জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে জানানো হবে।
মিজানুর রহমান তোতা পেশায় একজন সাংবাদিক হলেও তাঁর নেশা ছিল কবিতা। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি খুব নিগূঢ়ভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন মানব জীবনের সুখ, দুঃখ, দুর্দশা, বেদনা প্রবাহ জীবন, আশা, আকাঙ্ক্ষা, সমাজচিত্র আর বাস্তবতার প্রলেপ।তিনি কাব্যে উপলব্ধি করেছেন প্রেম-ভালোবাসা, স্বপ্ন, সাধ, দ্রোহ ও হতাশা, অভিমান। তাঁর স্ত্রী বিয়োগের পর তিনি কবিতায় বেশী মনযোগ দেন। “নিঃসঙ্গ জীবনের অনুভূতি”কবিতায় সেটা প্রকাশ করেন।
“দিবানিশি স্বপ্নের খেলা”তাঁর সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ। এর মাধ্যমে নির্জীব জাতির জীবনে আত্মোপলব্ধির গভীর ব্যঞ্জনা তুলে ধরেছেন।এখানে প্রেম,বিরহ,বেদনা, প্রকৃতির কোল,কোলাহল পূর্ণ জীবন,নীরবতা, অস্থিরতা,সহিংসতা সমস্ত কিছুর বাস্তবতা দৃশ্যায়ন করেছেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজনীতিবিদ, সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক,পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ যশোরের সর্বস্তরের মানুষ।